শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু:-
২০০২ সালের হিট সঙ্গীত ভিডিও “Kaanta Laga”–এর “কাঁটা লাগা গার্ল” হিসেবে শেফালি জারিওয়ালা সারাজীবনের জন্য বিনোদন জগতের হৃদয় দখল করেছিলেন। পরবর্তীতে ওনাকে বড় পর্দা, ছোট পর্দা, reality শোতে এবং ওয়েব সিরিজে দেখাগেছে। ২৭ জুন রাতে আকস্মিকভাবে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
শারীরিক অবস্থা ও মৃত্যুর সারমর্ম:
তারিখ ও সময়: ২৭ জুন ২০২৫ (শুক্রবার) রাতে মুম্বাইয়ের বেফেলে মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয় ।

সম্ভাব্য কারণ: রিপোর্ট বলছে হঠাৎ করেই তিনি কার্ডিয়াক অ্যারোস্ট এ আক্রান্ত হন । যদিও মুম্বাই পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র অনুসারে, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত না হওয়ায় post-mortem অবশ্যই চালানো হচ্ছে ।
মৃত্যুর আগের পরিস্থিতি:
তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের দিন তিনি স্বাভাবিক ছিলেন এবং প্রতিবেশীদের কথায় তাঁর শরীরে কিছুই সমস্যা বোঝা যায়নি ।
শেফালি জারিওয়ালা শুক্রবার রাতে কার্ডিয়াক অ্যারোস্ট এ আক্রান্ত হন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর শেষ পোস্ট ছিল একটি স্টাইলিশ ভিডিও বা ফটো এতে তিনি বলেন, “সময় এসে গেছে জীবনের আনন্দ উপভোগ করার।” তারপরেই এই দুঃসংবাদ।

Post-mortem ও পুলিশ তদন্ত:
হাসপাতাল থেকে তাঁর মৃতদেহ কুপার হাসপাতাল–এ পাঠানো হয়েছে post-mortem এর জন্য ।
মুম্বাই পুলিশ তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত forensic দলকে domestic help ও cook কে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এটি একটি প্রাথমিক তদন্ত।
শোকবার্তা ও স্মরণ:
বিনোদন জগত জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহশিল্পী ও বন্ধুরা হিমাংশি খুরানা, পৃথি শি, ভারতি সিংহ, কুশল তন্দন, আলি গোণী, মিকা সিংহ সহ বহু শিল্পী শোক প্রকাশ করেছেন ।
তাঁর স্বামী পরাগ ত্যাগীকে হাসপাতালে অত্যন্ত বিপর্যস্ত মনে হচ্ছিল, তিনি কেমরা থেকে মুখ লুকিয়ে বের হচ্ছিলেন।
শেফালির জীবন ও কর্মব্যাপার:
জন্ম ও শিক্ষা: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৮২–এ মুম্বাইয়ে জন্ম, স্নাতক স্তরে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে পড়াশোনা।
- প্রথমে “Kaanta Laga” (২০০২), এরপর ‘মুজসে শাদি করোগি’, ‘হুদুগারু’, ‘শয়তানি রসমেইন’ ও ওয়েব সিরিজ ‘Baby Come Naa’ এ অভিনয় করেছেন।
- রিয়েলিটি শো: ‘Nach Baliye 5 ও 7’, ‘Bigg Boss 13’ এ উজ্জ্বল উপস্থিতি।
- ব্যক্তিগত জীবনে: ২০০৪–২০০৯ পর্যন্ত সংগীত শিল্পী হারমিত সিং-কে বিয়ে ও পরবর্তীতে ২০১৫–এ অভিনেতা পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে পুনরায় বিয়ে করেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক: কৈশোরে মৃগীরোগের সমস্যাটিকে অবহেলা করা হয়নি; তিনি ১৫ বছর ধরে এটি পরিচালনা করেছিলেন এবং নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন। ।
কার্ডিয়াক অ্যারোস্টের বিবিধ দিক:
একদিকে “হার্ট অ্যাটাক” তখন ঘটে যখন রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়, প্রাণঘাতী ঘটে। অন্যদিকে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ফলে হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করা বন্ধ হয়ে যায়, যা শরীরে রক্ত প্রবাহ বন্ধ করে দেয়।।
ইয়ং এডাল্টদের জন্য এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিপজ্জনক; তা হঠাৎ ঘটে যায় এবং যত দ্রুত না চিকিৎসা শুরু হয়, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বেশি থাকে ।

শেফালির উত্তরাধিকার:
তিনি বিনোদন জগতে নিজস্ব একটি স্থায়ী অবস্থান তৈরি করেছিলেন। প্রতিটি ব্যক্তি তাকে চেনে ‘কাঁটা লাগা’ গান ও তার অনিন্দ্যসুন্দর বডি শেপ, আত্মবিশ্বাসের জন্য।
একটি জ্ঞানযোগ্য বার্তা ছিল তার–“সময় এসে গেছে, জীবন উপভোগ করার”; যা আজ আর তার সঙ্গে নেই, কিন্তু স্মৃতি হয়ে থাকবে।
উপসংহার:-
শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবন ক্ষণস্থায়ী, এবং যদি আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের যত্ন না নিই, তাহলে এর পরিণতি হতে পারে। তিনি খুব বেশি অনুপ্রেরণা না পেয়েই তারকাখ্যাতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট) প্রকাশ পেলেও, মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্তের ফলাফলের পরেই জানা যাবে।
আমেরের প্রিয়/সম্মানিত পাঠকগণ, অনুগ্রহ করে আপনার ও আপনার পরিবারের মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখুন, বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস, প্রাথমিক চিকিৎসা এই সবকিছু মিলিয়েই জীবন এগিয়ে যায়।
শেফালি তথা ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ কে শেষ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা